বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
বিডি নিউজ ৭১ ডেস্কঃ
মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন সেহাচর এলাকার তরুন সমাজসেবক শেখ মোহাম্মদ ঈমান আলী বলেন- জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে লড়ে যাবো অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কোন অপপ্রচার, হুমকী এ লড়াইকে দমিয়ে দিতে পারবে না।
সমাজসেবক শেখ মোহাম্মদ ঈমান আলী জানান, সম্প্রতি সেহাচর এলাকায় একটি চক্র গড়ে উঠেছে যারা বিশেষ পেশার পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন কায়দায় এলাকার অসহায় লোকজনকে জিম্মি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই চক্রটিই এলাকার প্রতিবাদি কন্ঠকে দাবিয়ে রেখে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের পায়তারা করছে। তাদের সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে দেবে না এলাকাবাসী।
তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন যাবত সাংবাদিক বনে যাওয়া জনৈক ফয়সালের বাড়ীতে দুই পরিবারের ঝগড়া মিমাংসার নামে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এরপরেও আরো টাকা দাবী করায় ভুক্তভোগি মহিলা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের শরনাপন্ন হয়। এ অপরাধ থেকেই চক্রটি অপপ্রচারে মাঠে নেমে আমাকে টার্গেট করে,যদিও আমি সেই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না এবং নেই যা উক্ত পরিবার দুটোই স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে ঝগড়ায় জড়িত অপর পক্ষও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে সংঘর্ষে মহিলার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে বলে। তাতে অপরাধীচক্রটি অতি উৎসাহি হয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে অভিযোগপত্রে কৌশলে আমার নামটিও জড়িয়ে দেয় যা মহিলা নিজেও জানে না। পরবতীতৈ আমার ছবি ও নাম জড়িয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও দুই/একটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায়। আমি এর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি।
ভাতিজা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ ঈমান আলী জানান, আমার ভাতিজা সানির হাতে দুইটি মদের বোতলসহ ছবি ছাপিয়ে বলা হচ্ছে সে মাদক ব্যবসায়ী এবং আমি চাচা হয়ে তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছি। এটাও একবারে ডাহা মিথ্যা প্রচারনা। এ ঘটনা হচ্ছে কোন এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অতি আনন্দ করতে গিয়ে কেউ একজন ছবি তুলে সংরক্ষনে রেখে আজ স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করছে। আমার কথা হচ্ছে কোন মাদক ব্যবসায়ী স্বেচ্ছায় হাসিমুখে এ ধরনের ছবি তুলে রাখবে তা আমার মনে হয় না। আর আমার ভাতিজা মাদক ব্যবসা করে এমন প্রমান হলে প্রশাসনই ব্যবস্থা নেবে এ ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই। তবে এর সাথে আমার সম্পৃক্ততা নিয়ে যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা ঐ কুচক্রিমহলের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। কার এলাকায় আমি একজন সমাজসেবক হিসাবেই পরিচিত। এলাকাবাসীও আমার ব্যাপারে জানে। যারা আমার বিরুদ্ধে প্রচারনা চালাচ্ছে তাদের রেকর্ড খতিয়ে দেখার অনুরোধ রইল পুলিশ প্রশাসনের কাছে। তবে এতটুকু বলতে পারি অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
ঈমান আলী আরো বলেন, আগত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে আমি স্থানীয় মেম্বারপদে একজন শক্ত প্রতিদ্বন্ধি হওয়ায় আমাকে থামিয়ে দিতে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের এ অপকর্ম চলছে। কারন বিগত নির্বাচনে আমি বিপুল পরিমান ভোট পেয়ে লড়াই করেছি আগামীতেও করবো ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ শেখ মোহাম্মদ ঈমান আলী বিডি নিউজ ৭১ কে বলেন, আমি যদি কোন অন্যায়-অপরাধ করে থাকি তা তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমার বিশ্বাস প্রশাসনও কোন অন্যায় অপরাধীকে প্রশ্রয় দেবে না। আর পরবর্তীতে কোন সত্যতা যাচাই ছাড়া কেউ অপপ্রচার চালালে আমিও আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...