বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিডি নিউজ ৭১ ডেস্কঃ
বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে একটি উৎসব। এ দেশে দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার একটি রীতি দীর্ঘদিন ধরে চালু আসছে। নির্বাচন এলে দেশে উৎসবের আবহাওয়া তৈরি হয়। জনপ্রতিনিধি কেমন হওয়া উচিত এবং জনগন কেমন জনপ্রতিনিধি বাছাই করবেন তারই একটি সুন্দর ও গঠনমূলক দিকনির্দেশনা দেন জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আলহাজ্ব কাউসার আহমেদ পলাশ ।
একজন আদর্শ জনগণের উচিত সৎ, শিক্ষিত, চরিত্রবান, আদর্শবাদী ও সমাজসেবার মানসিকতাসম্পন্ন যোগ্য মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করা। বস্তুত যারা সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবে, কেবল তাদেরকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে পারলেই সমাজে বিরাজ করবে শান্তি এবং মানুষ তাঁর কাঙ্খিত সেবাটি পাবে ।
রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, যোগাযোগ, শিক্ষা, কৃষি ও সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে সক্ষম ব্যক্তিকেই ভোট দেয়া কর্তব্য বলে আমাদের মনে করা উচিত। যারা ঘুষ খায়, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পায়ে ধরে, ক্ষমতায় গেলে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, তাদের বর্জন করতে হবে। এতেই সমাজের শান্তি নিহিত।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষিত জাতি গড়ার জন্য সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের শিক্ষিত হওয়া জরুরী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে নির্বাচনে পেশিশক্তি, অর্থের প্রভাব ইত্যাদি কারণে অশিক্ষিত জনপ্রতিনিধিরা এক একটি নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব নেন। এদের অনেকেই অজ্ঞতার কারণে কোথায় প্রকল্প বা কোথা থেকে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ আনতে হয়- তা ঠিকমতো বুঝতে পারেন না। ফলে ওই এলাকা উন্নয়নবঞ্চিত হয়। একটি শিক্ষিত জাতি গঠন করার জন্য, দেশকে উন্নত থেকে উন্নততর করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই জনগণকে অবশ্যই প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে অবশ্যই বিশেষ নজর রাখতে হবে।
সততা এক মহান গুণ। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে এই গুণটি থাকা বিশেষভাবে অত্যাবশ্যকীয়, কিন্তু বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধির মধ্যে এর ব্যপক ঘাটতি দেখা যায়। আমাদের নেতা যদি হন অসৎ তাহলে আমরা তাঁর থেকে সমাজের কি কল্যাণ আশা করতে পাড়ি? এজন্য জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সৎ প্রার্থীকে বাছাই করার মত সাহসিকতা জনগণের মধ্যে থাকলেই কেবল সেই সমাজের উন্নয়ন এবং সামগ্রীক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...