শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
বেলকুচি প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৮ ফুট সড়কের ছয় ফুট দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে স্থানীয় হকাররা। বেলকুচি পৌর এলাকাস্থ মুকুন্দগাঁতী ঢালু থেকে শুরু করে সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ব্যস্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এই আঞ্চলিক সড়কটি ব্যবহার করে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যায়।
এছাড়াও বাস-ট্রাক, সিএনজি, অটো ভ্যান, ব্যাটারী চালিত রিকশা, মোটরসাইকেলসহ নানা রকম যানবাহন ব্যবহার করে বেলকুচি উপজেলার কান্দাপাড়া, দৌলতপুর, বলরামপুরসহ উল্লাপাড়া ও শাহাজাদপুর উপজেলায় যাতায়াত করেন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন।
বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি থাকার কারণে মুকুন্দগাতী বাজারে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা কেনাকাটা করার জন্য আসেন। দিনে ও রাতে সমহারে ব্যস্ত থাকা জনপদটির প্রধান সড়কটি মাত্র ১৮ ফুট হওয়ায় প্রতিনিয়ত অটো ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন দ্বারা যানজট লেগেই থাকে। ১৮ ফুট সড়কের দুই পাশে ছয় ফুট স্থানীয় প্রভাবশালী হকারদের দখলে। এই সড়কের জায়গা দখল করে তারা বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজ পরিচালনা করে আসছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা বা সড়ক দখল মুক্ত করে যাতায়াতের ব্যবস্থাকে তরান্বিত করার উদ্যোগ।
মুকুন্দগাঁতী বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা বলেন, মুকুন্দগাঁতী ঢালু থেকে শুরু করে কবরস্থান এবং অপর দিকে সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট থেকে চক সোহাগপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সব সময় যানজট লেগেই থাকে। সড়কের যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হকারদের দোকান।
এমনিতেই চাহিদার তুলনায় সড়কটি সংকুচিত। আর এসব দোকান থাকার কারণে আমরা ঠিকমত চলাফেরা করতে পারি না। সব সময় যানজট লেগেই থাকে। আমরা এই যানজট নিরসনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সড়কের উপরে ব্যবসাকারী হকারেরা জানায়, আমরা সড়কের পাশে ব্যবসা করি মাসে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দিয়ে। তবে বিশেষ কোন কারণে আমাদের এককালীন বড় অংকের টাকা দিতে হয় বাজার ইজারাদারসহ বিভিন্ন মহলকে।
এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম সাইফুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলকুচিতে যে সকল অবৈধ স্থাপনাসহ দোকান-পাঠ আছে তা খুব দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...